শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি: শ্রীনগরে রাতের আধারে বসতঘরের দরজা ভেঙ্গে স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থ ও জায়গা জমির কাগজপত্র লুটের অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার ষোলঘর ইউনিয়নের খৈয়াগাঁও গ্রামে এঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ওই গ্রামেরমরহুম আল—আমিনের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার (৩৫) শ্রীনগর থানায় আব্দুল জলিল, নুরনবী লিটন, মো. বাদল ও মো. লিটনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে দুই সন্তানের জননী মাহমুদা আক্তারের ঘরের কাঠের দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে অভিযুক্তরা। ডাকাতি কায়দায় মোখশ পড়া ব্যক্তিরা গৃহবধূ মাহমুদাকে জিম্মি করে আলমারি—সুকেজ ভেঙ্গে ৩ ভড়ি স্বর্ণালংকার, নগদ ৩০ হাজার টাকা ও জমির দলিলপত্র নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় প্রতিবেশী আব্দুল জলিলকে চিনে ফেলে মাহমুদা।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মাহমুদা বেগমকে মেরে আহত করে পালিয়ে যায় আব্দুল জলিল ও তার সহযোগীরা। ওই বাড়িতে বসবাসকারীরা বলেন, বাড়ির অন্যান্য ঘরের দরজা বাহির থেকে শিকল আটকিয়ে ডাকাতি কায়দায় মাহমুদার ঘরের দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে দুবৃর্ত্তরা।
এ ঘটনার আগে ওইদিন বিকালে আব্দুল জলিল মাহমুদা আক্তারের ছোট ছেলে আবু তালহাকে (১৩) মারধর করে ও হুমকি ধামকি দিকে দেখা গেছে আব্দুল জলিল। মাহমুদার স্বামী প্রায় ৩ বছর আগে মালয়েশিয়া ইন্তেকাল করেন। তার দুই ছেলে মাদ্রাসায় পড়ে। ওই রাতে মাহমুদা আক্তার ঘরে একই ঘুমিয়ে ছিল। মাহমুদা একই উপজেলার কুকুটিয়া ইউনিয়নের বাগবাড়ি গ্রামের মোহাম্মদ আলী দেওয়ানের কন্যা।
ভুক্তভোগী মাহমুদা আক্তার বলেন, প্রথম দিকে মুখ ঢাকা অবস্থায় কাউকে চিনতে পারিনি। জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ আব্দুল জলিল বেপারীর মোখশ খুলে গেলে তাকে চিনে ফেলি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারধর করে। নাম বললে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
খবর পেয়ে শ্রীনগর থানা পুলিশ আসে। এ বিষয়ে জানতে আব্দুল জলিল বেপারীর বাড়িতে গিয়ে তার দেখা মিলেনি। অভিযুক্তদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন রিসিভ করেননি। অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা ও শ্রীনগর থানার সাব—ইন্সপেক্টর মো. কামরুজ্জামান জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। জমিজমা সংক্রান্ত ও পারিবারিক দ্বন্দ্ব আছে। পূর্ব শক্রুতার জেরে এ ঘটনা হয়ে থাকতে পারে। লিখিত অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মো: ফারুক খান
শ্রীনগর,মুন্সীগঞ্জ
১৯/১২/২৫ইং

