বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দাবি দাওয়াকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ঘটনার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের দৃশ্যত অবনতি ঘটার প্রেক্ষাপটে ‘জাতীয় ঐক্যের’ আহবান জানানোর জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আজ বুধবার বৈঠক করছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
যদিও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কেউ কেউ এবং বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে আলোচনার মাধ্যমে আস্থায় নিতে না পারলে ‘একটি শক্তিশালী জাতীয় ঐক্য’ খুব একটা ফলপ্রসূ হবে না।
তাদের মতে, সংকট জিইয়ে না রেখে সমাধানের উদ্যোগ নিলে সেটি একদিকে যেমন অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে, অন্যদিকে সম্প্রদায়গত সহনশীলতা তৈরিতেও ভূমিকা রাখবে এবং এর ফলে দেশের বাইরে থেকে ‘প্রোপাগান্ডা বা অপপ্রচারের’ সুযোগ কমে যাবে।
সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বিবিসি বাংলাকে বলেছেন সংখ্যালঘুদের সংকট সমাধান ও দাবি দাওয়া পূরণে সরকার তাদের সাথে দফায় দফায় আলোচনা করেছে এবং এটি চলমান থাকবে।
“পূজার ছুটিসহ কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যেই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরও পদক্ষেপ নেয়া হবে। সবাইকে সাথে নিয়েই আমরা জাতীয় ঐক্য তৈরি করবো। তবে কেউ দেশের স্বার্থবিরোধী কিছু করলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে,” বলছিলেন তিনি।
মি. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, বিশেষ করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দাবি দাওয়াকে ঘিরে গড়া ওঠা আন্দোলনের একজন নেতাকে আটকের পর ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে।
এই পটভূমিতেই জাতীয় ঐক্যের ডাক দেয়ার জন্য মঙ্গলবার ‘ছাত্রনেতাদের’ সাথে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। বুধবার বিএনপি-জামায়াতসহ বেশ কিছু রাজনৈতিক দলের সাথে বৈঠকে বসেছেন তিনি।
04.12.24
