
বিশ্বে প্রথম রিওভাইরাস (রেসপিরেটরি এন্টারিক অরফান ভাইরাস) শনাক্ত হয় ১৯৫০ সালে। তবে দেশে এই প্রথম পাঁচজনের শরীরে রিওভাইরাস শনাক্ত করেছে ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলোজি ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ (আইইডিসিআর)। তবে কারও ক্ষেত্রে তেমন কোনো জটিলতা দেখা যায়নি। রিওভাইরাস এমন একটি ভাইরাস, যা সাধারণত প্রাণী বা মানুষের মধ্যে অন্ত্রের সংক্রমণ সৃষ্টি করতে পারে। শীতকালে রিওভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। পানির মাধ্যমে ছড়াতে পারে এই ভাইরাস; যা শিশুদের ডায়রিয়া বা জ্বরের সৃষ্টি করে। ভাইরাসটি শরীরে প্রবেশের ৩-৬ দিনের মধ্যেই উপসর্গ দেখা দেয়। তবে এ ভাইরাস তুলনামূলকভাবে কম ভয়াবহ ও সাধারণত সহজেই চিকিৎসা করা যায়।
যেসব লক্ষণে চেনা যাবে রিওভাইরাস
ডায়রিয়া: পানিজাতীয় পাতলা মল, যা শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
জ্বর: শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়।
বমি: বমি করা, বিশেষ করে খাবার খাওয়ার পর।
পেটে ব্যথা: অন্ত্রের অস্বস্তি বা পেটের ব্যথা।
শক্তি কমে যাওয়া: শরীর দুর্বল অনুভূতি বা ক্লান্তি।
কতটা মারাত্মক?
রিওভাইরাস সাধারণত মারাত্মক নয়। তবে এটি গুরুতর ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে। সেক্ষেত্রে সঠিক চিকিৎসা না পেলে এটি জীবনহানির কারণ হতে পারে। তবে এটি সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিলে ভালোভাবে নিরাময়যোগ্য।