গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা অবশেষে 'চুক্তির কাছাকাছি'

গাজায় বাস্তুচ্যুত হয়েছে ২৩ লাখের বেশি মানুষ


ফিলিস্তিনের গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি আর জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে কাতারের দোহায় আলোচনা আবার শুরু হয়েছে। ওই আলোচনার মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার বলছে, তারা এখন একটি 'চুক্তির কাছাকাছি' অবস্থায় পৌঁছেছে।

গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা ও জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে ওই চুক্তি সম্পাদিত হতে পারে।

কর্মকর্তারা আভাস দিয়েছেন, ইসরায়েল ও হামাস চুক্তির বিষয়ে এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

ওই আলোচনার সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন, ফিলিস্তিনি এমন একজন কর্মকর্তা বিবিসিকে জানিয়েছেন, গত ১৫ মাসের মধ্যে এই প্রথমবারের মতো ইসরায়েল ও হামাসের প্রতিনিধিরা একই ভবনে অবস্থান করে গত আট ঘণ্টা ধরে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।

যদিও মুখোমুখি নয়, তদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে পরোক্ষভাবে। কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা মধ্যস্থতাকারী হিসাবে কাজ করছেন।

এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, আলোচনার বর্তমান অবস্থা নিয়ে তারা সন্তুষ্ট। তারা আশা করছে, এই দফার আলোচনায় 'পরিষ্কার ও বিস্তারিত একটি চুক্তিতে' উপনীত হবে।

চুক্তির শর্ত নিয়ে এখনও পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে

এখনও পর্যন্ত দুই পক্ষের মধ্যে যে সব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, তার মধ্যে প্রধান কয়েকটি বিষয়ে উভয় পক্ষ একমত হয়েছে বলে আলোচকরা জানিয়েছেন। তবে এগুলোর বিস্তারিত নিয়ে এখন দরকষাকষি চলছে।

জানা যাচ্ছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য গাজা ভূখণ্ড থেকে ইসরায়েলি সৈন্য সরিয়ে নেওয়ার যে শর্ত ছিল হামাসের, সেটি তারা প্রত্যাহার করেছে।

বিবিসি জানতে পেরেছে, উভয় পক্ষ একমত হয়েছে যে, প্রথম দিন হামাস তিনজন জিম্মিকে মুক্তি দেবে। অন্য দিকে জনবহুল এলাকাগুলো থেকে সৈন্য সরিয়ে নিতে শুরু করবে ইসরায়েল।

সাতদিন পরে হামাস আরো চারজন জিম্মিকে মুক্তি দেবে।

অন্যদিকে গাজার দক্ষিণ এলাকা থেকে বাস্তুচ্যুত মানুষজনকে উত্তরের এলাকায় ফেরার সুযোগ দেবে ইসরায়েল। তবে তাদের উপকূলীয় সড়ক ধরে পায়ে হেঁটে ফিরতে হবে।


14/01/25


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন