চট্টগ্রামে চিন্ময়ের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ-সংঘর্ষে এক আইনজীবীর মৃত্যু। সংবিধানে উপ-প্রধানমন্ত্রী, উপ-রাষ্ট্রপতির বিধানসহ ৬২ জায়গায় সংশোধন চায় বিএনপি। চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি, কলকাতায় বিক্ষোভ। শাপলা চত্ত্বরের ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে হেফাজতে ইসলামের অভিযোগ।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাল্টা বিবৃতি বাংলাদেশের
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারে উদ্বেগ জানিয়ে যে বিবৃতি দিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, তার পাল্টা বিবৃতি দিয়ে বাংলাদেশ বলেছে, যেভাবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ একটি বিষয়, চিন্ময় দাসের গ্রেফতারের বিষয়টি নিয়ে কোন কোন মহল ভুলভাবে উপস্থাপন করছে, তাতে বাংলাদেশ হতাশা ও দুঃখ বোধ করছে।
এ ধরনের ভিত্তিহীন বিবৃতি শুধুমাত্র ঘটনাটিকে ভুল ভাবেই তুলে ধরছে না, বরং প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে যে বন্ধুত্ব এবং বোঝাপড়ার সম্পর্ক রয়েছে, তার মনোভাবের বিরোধী।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ গভীরভাবে বিশ্বাস করে, কোনরকম ব্যত্যয় ছাড়াই প্রত্যেক ধর্মের মানুষের তাদের ধর্মীয় উৎসব, রীতিনীতি পালনের বা মত প্রকাশের অধিকার রয়েছে। অন্য সব নাগরিকের মতো বিশেষ করে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের রক্ষা করা বাংলাদেশ সরকারের অন্যতম দায়িত্ব।
সেই সাথে বাংলাদেশ সরকার মনে করিয়ে দিতে চায় যে, দেশটির বিচার বিভাগ পুরোপুরি স্বাধীন এবং সরকার তাদের কার্যক্রমে কোন হস্তক্ষেপ করে না। বর্তমানে যে বিষয়টি নিয়ে কথা তোলা হয়েছে, সেটিও দেশের আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
বাংলাদেশের সরকার সব সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। চট্টগ্রামে নিষ্ঠুরতার সাথে যেভাবে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করা হয়েছে, তাতেও বাংলাদেশ সরকার অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। যেকোনো মূল্যে বন্দর নগরীতে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য সরকার সেখানে নিরাপত্তা আরো জোরদার করেছে।
