সমঝোতার পরও তাবলীগ জামাতের দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়ালো কেন? চারজন প্রাণ হারিয়েছেন


প্রতিবছর বিশ্ব ইজতেমায় লাখ-লাখ মুসল্লি অংশ নেন


বাংলাদেশে তাবলীগ জামাতের দু'টি অংশ 'জুবায়ের' ও 'সাদ'পন্থীদের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্ব আবারও সংঘাতে রূপ নিয়েছে। টঙ্গীর তুরাগ তীরে অবস্থিত বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে দু'পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে চারজন প্রাণ হারিয়েছেন।

মঙ্গলবার শেষরাতের এ ঘটনায় উভয়পক্ষের আরও প্রায় অর্ধশত অনুসারী আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।

সংঘর্ষের একপর্যায়ে মাওলানা জুবায়ের আহমেদের অনুসারীদের ধাওয়া দিয়ে ইজতেমা ময়দানের নিয়ন্ত্রণ নেন মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্দালভীর সমর্থকরা।

পরে জুবায়েরপন্থীরা পুনরায় সংগঠিত হয়ে আশপাশের এলাকায় বিক্ষোভ-সমাবেশ শুরু করলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।

এ অবস্থায় উভয়পক্ষের সঙ্গে সঙ্গে আলোচনা করে ইজতেমা ময়দান খালি করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। দুপুরের পর সবাইকে সরিয়ে দিয়ে মাঠের নিয়ন্ত্রণ নেয় সেনা, পুলিশ, র‍্যাব ও বিজিবি সদস্যরা।

এছাড়া পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ, মিছিল ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করেছে পুলিশ।

অন্যদিকে, সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনায় জুবায়ের ও সাদপন্থীরা একে অন্যের দিকে আঙুল তুলছেন। 'সন্ত্রাসী' আখ্যা দিয়ে সাদপন্থীদের নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন জুবায়েরপন্থীদের অন্যতম নেতা মামুনুল হক।

তবে ইজতেমা মাঠের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে পক্ষ দু'টির রেষারেষি, সংঘর্ষ ও পরস্পরকে দোষারোপের ঘটনা এবারই প্রথম নয়।

এর আগে, ২০১৮ সালেও তারা সংঘর্ষে জড়িয়েছিল এবং তাতে একজন নিহত ও শতাধিক মানুষ আহত হয়েছিল। এমনকি সবশেষ গত নভেম্বরেও ইজতেমা ও ঢাকার কাকরাইল মসজিদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দু'পক্ষকে মুখোমুখি অবস্থানে দেখা গিয়েছিল।

পরে সরকারের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি শান্ত হয় এবং অতীতের সমঝোতা মেনে জুবায়ের ও সাদপন্থীদের নেতারা সংঘাত এড়িয়ে চলার সিদ্ধান্ত p>

কিন্তু সেই অবস্থা থেকে পক্ষ দু'টি আবারও সংঘর্ষে জড়ালো কেন?

কীভাবে সংঘর্ষ শুরু হলো এবং এর ফলে কি সামনের বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠানে কোনো পরিবর্তন আসতে পারে?

18/12/24

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন