শ্রীনগরে মামলার বাদিকে হুমকি প্রদানের অভিযোগ

 


শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি: শ্রীনগরে একটি মামলার বাদিকে আসামীদের বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আসামীদের দুজন জামিনে এসে মামলার বাদি সিফাত খানকে (১৯) হুমকি প্রদান করে। 



গত ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার দিকে উপজেলার হাঁসাড়ার নাগের পাড়া এলাকায় মামলার আসামীরা বাদিকে হুমকি প্রদান করে। এ ঘটনায় মামলার বাদি সিফাত খান হাঁসাড়া নাগের পাড়ার মন্টু মন্ডলের ছেলে শুভ মন্ডল (২৬) ও কৃষ্ণ দাসের স্ত্রী শিখা রানীর বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরী দায়ের করেন। 



স্থানীয়রা জানান, হাঁসাড়ার নাগের পাড়া কানু মন্ডলের জায়গায় কলার বাগান থেকে কলার থোর নেওয়ার অভিযোগ ওই এলাকার কৃষ্ণ দাসের শ্বাশুরির বিরুদ্ধে। এঘটনায় কানু মন্ডল প্রতিবেশী আব্দুল লতিফ খানকে সঙ্গে নিয়ে তার বাড়িতে যান। কলার থোর আনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে কৃষ্ণ অনুতপ্ত হয়ে পুনরায় এমনটা হবেনা বলেন ওই নারী। 



এ সময় আব্দুল লতিফ খানকে সাক্ষী রেখে কানু মন্ডল ওই বাড়ি থেকে চলে আসেন। এনিয়ে ৭ সেপ্টেম্বর বিকালে কৃষ্ণ দাসের ছেলে হৃদয় দাস (২২), মন্টু মন্ডলের ছেলে শুভ মন্ডল (২৬)  আব্দুল লতিফ খানকে (৬৫) একটি চায়ের দোকান থেকে ডেকে নাগের পাড়া ব্রিজের ওপর নিয়ে আসে। 



কথার এক পর্যায় আব্দুল লতিফ খানের ওপর হামলা চালায় হৃদয় দাসগং। এ সময় বৃদ্ধ লতিফ খানের চোখ মারাত্মকভাবে রক্তজখম হয়। কানু মন্ডল বলেন, মাঝে মধ্যে আমার গাছের কলা থোর চুরি হয়ে যায়। ওইদিন হৃদয় দাসের নানীকে হাতেনাতে ধরি। সাক্ষী রাখার জন্য প্রতিবেশী লতিফ  খানকে সঙ্গে নিয়ে হৃদয়দের বাড়িতে যাই। 



এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হৃদয় দাস তার সহযোগীদের নিয়ে লতিফ খানকে রক্তাত্বজখম করে। রঞ্জিত রায় বলেন, হৃদয়ের চালচলা ভালোনা। তেমন কোনও কাজকর্ম করেনা। মামলার বাদি সিফাত খান বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হৃদয় দাসগং আমার বাবাকে মেরে আহত করে। 



তার একটি চোখে কিছু দেখতে পাচ্ছেন না। এখনও চোখের চিকিৎসা চলছে। এ ঘটনায় গত ১৩ শেপ্টেম্বর শ্রীনগর থানায় হৃদয় দাসকে প্রধান আসামী করে মামলা দায়ের করি। মামলা নং—১৩। এখন দুজন আসামী জামিনে এসে আমাকে প্রকাশ্যে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। যার প্রত্যক্ষদশীর্ সাক্ষীও রয়েছে। 



উপায় না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরী দায়ের করি। এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের বাড়িতে গিয়ে কারও সাক্ষাৎ পাওয়া যায়নি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা  ও শ্রীনগর থানার সাব—ইন্সপেক্টর মো. গোলাম মোস্তফা জানান, মামলার বাদিকে হুমকি প্রদানের বিষয়ে একটি জিডি হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।








মো:ফারুক খান
শ্রীনগর,মুন্সীগঞ্জ
২৭/০৯/২৫ইং
     

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন