শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি: শ্রীনগরে উপজেলার ষোলঘর ইউনিয়নের কেউটখালীতে এক গৃহবধূর আইরিন বেগমকে আত্মহত্যায় প্ররোচণায় অভিযুক্তদের শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন করেছে স্বজনরা।
শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকা—মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের সংযোগ সড়ক ডাক্তার রোডের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে প্রায় দুই শতাধিক নারী—পুরুষ ও গৃহবধূর স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। নিহত গৃহবধূর দেবব সিংগাপুর প্রবাসী দেলোয়ার তার স্ত্রী ইসরাত ও ইসরাতের বড় বোন চায়নার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন স্থানীয়রা।
এ সময় নিহত আইরিন বেগমের কন্যা আখিঁ আক্তার (২৪), ইজমা আক্তার (১৬) ও তোয়া মনি (১০) দাবী করেছেন চাচা দেলোয়ার শেখ, দুই চাচী ইরাত ও চায়না বেগমের অন্যায় অত্যাচারের অপমান সইতে না পেরে তার মা আত্মহত্যা করেন। প্রকৃত ঘটনাটিকে ধাপাচাপা দেয়ার জন্য অভিযুক্তরা ঘটনার বিষয় অন্যদিকে নেওয়ার চেষ্টা করছে। আত্মহত্যায় প্ররোচণাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেছেন নিহত আইরিনের মা পারভীন বেগম (৬০)।
নিহত আইরিন বেগম কেউটখালী গ্রামের দুবাই প্রবাসী আনোয়ার শেখের স্ত্রী। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আইরিন বেগমের মৃত্যুর খবর পেয়ে দেবর দেলোয়ার শেখ সিংগাপুরে চলে গেছেন।
উল্লেখ্য, গত ২ নভেম্বর সকালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অভিযুক্ত দেলোয়ার তার স্ত্রী ইসরাত শারীবিক ভাবে নির্যাতন করে ভাবি আইরিন বেগমকে। এ ঘটনায় শ্রীনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ আইরিন। এতে দেলোয়ার তার স্ত্রী ইসরাত অভিযোগ তুলে নিতে নানাভাবে চাপ দিয়ে আইরিনকে মানসিকভাবে বিপযস্ত করে তুলে।
সাথে যোগ দেন ইসরাতের ভাসুর সিংগাপুর প্রবাসী শাহিনুর শেখের স্ত্রী চায়না বেগম। ইসরাত ও চায়না সম্পর্কে আপন দুই বোন হওয়ায় দেলোয়ার—ইসরাত দম্পতির অন্যায় অত্যাচরের প্রতিবাদ করতেন না চায়না বেগম। তাদের অপমান অত্যাচার সইতে না পেরে আইরিন বিষপান করে। গুরুতর অবস্থায় ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হলে গত ৬ নভেম্বর দুপুরে আইরিন বেগম মারা যায়। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়।
মো:ফারুক খান
শ্রীনগর,মুন্সীগঞ্জ
১৪/১১/২৫ইং

